চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে চীনের ওপর নতুন করে আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফেব্রুয়ারির শুরুতে চীন থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন তিনি। এখন আবার শুল্ক আরোপের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবাহ ঘটাচ্ছে, যা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে। বিশেষ করে ফেন্টানিলের প্রবাহসহ বিভিন্ন বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
চীনের পক্ষ থেকেও এই শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “ওয়াশিংটন ফেন্টানিল ইস্যুকে ব্যবহার করে শুল্ক চাপ ও ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে। এতে দুই দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংলাপ ও সহযোগিতার ওপর গুরুতর প্রভাব পড়বে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, এই শুল্ক সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই ক্ষতিকর হবে। লিন দাবি করেন, চীন ছিল বিশ্বের প্রথম দেশ যারা ফেন্টানিল জাতীয় পদার্থগুলোর ওপর সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরো জানান, আগামী ৪ মার্চ থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে। একইসাথে, চীনের ওপর নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে, ওই দুই দেশ সীমান্ত নিরাপত্তা তহবিল বাড়াতে এবং মাদক পাচার মোকাবিলা নিয়ে আলোচনায় সম্মত হওয়ায় এক মাসের জন্য শুল্ক আরোপ স্থগিত করেন তিনি।